আজকে ভেবেছিলাম অফিস থেকে ফেরার পথে ল্যাপটপ টা সাথে আনবো না। যেহেতু বাসার ল্যাপটপ টা মেয়ে কিছুদিন আগে পানি ফেলে নষ্ট করে ফেলেছিলো, কাজেই দেখতে চেয়েছিলাম একরাত আমারব্লগ ছাড়া থাকতে পারি কিনা। সেভাবেই ল্যাপটপ রেখে ও এসেছিলাম। কিন্তু মাঝ রাস্তায় এসে মনে হলো কোথাও ভুল হচ্ছে না তো?
আবার ফিরে গেলাম অফিসে , সাথে করে ল্যাপটপ নিয়ে এলাম। এদিকে আজ সকালে তিনজন মিলে কফি খাচ্ছিলাম। বলতেছিলাম যে নতুন বছর থেকে ব্লগিং করবো না আর। দুইজনই বললো, এটা আবার বেশি হয়ে যাবে। ব্লগিং করবেন না কেনো? জানি নিজেকে ধরে রাখা খুব কষ্টের , তারপরও হাত নিশপিশ করলে ও অনেক ক্ষেত্রেই এভয়েড করে থাকতে হবে। আমার যা স্বভাব, আমাকে দিয়ে হবে না আর। আমি ভাই এভয়েড করতে শিখি নাই, লিমিট ক্রস আমি সহ্য করতে পারি না। তাই নিজেকেই সরিয়ে নিবো। খুব দরকার পড়লে আমার ব্যক্তিগত সাইটে হয়তো লিখবো। নতুন বছরের শুরু থেকেই অর্গানাইজড হয়ে চলার প্রিপারেসন নিচ্ছি। নিজের পেশায় নজর দিবো। নো ব্লগিং ফ্লগিং।
ব্লগিং করবো আবু’তে আর ক্যাচাল করবো আমু’তে এরকম চিন্তা করার সুযোগ কেন আসে আমি বুঝি না। আমাকে গালি দিতে মন চাইলে এখানেই দেন ভাই। আমারে জন্মদিন জানাইতে হইলে ও এখানেই সুযোগ আছে। আমারে নিয়ে স্যাটায়ার করবেন তা ও এখানেই দেওয়া যায়। আমাকে ভালো না লাগতে পারে, সেই ইমপ্যাক্ট যেনো ব্লগে না আসে। আমার ও কাউকে ভালো না লাগতে পারে, আমি চেষ্টা করবো সেটার কোন ইমপ্যাক্ট ব্লগে না আনতে।
কেউ যদি আমার অনুমতি ছাড়া আমার কথা রেকর্ড করে ভদ্রবেশে আমি তাকে পছন্দ করবো না। যারা সেই রেকর্ডওয়ালাদের সাপোর্ট করবে তাদের ও আমি ভালোবাসবো না। আর সেটাই স্বাভাবিক। বাট, হু আই এম। আমাকে ব্লগার হিসেবেই ভাবুন। এহামিদার কথায়ই বলতে হয় যে আমার ও তো বাক স্বাধীনতা আছে। নাকি?
এসব লিখতে না লিখতেই ভোরের কাগজের এক খবরের লিঙ্ক – ঢাবিতে নিষিদ্ধ শিবিরের জাল। পুরোটা পড়ার পর কেমন লাগে?
প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে না পারায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কৌশল পাল্টেছে ছাত্রশিবির। ছাত্রদলের হয়েই এখন জোরেশোরে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাচ্ছে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ঘোষিত এই ছাত্র সংগঠনটি। কর্মী সংকটে পড়ে ছাত্রদলও শিবির কর্মীদের দলে ভেড়াচ্ছে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জামাতপন্থী শিক্ষকদের প্রত্যক্ষ মদদেও ছাত্রশিবিরের কার্যক্রম চলছে ক্যাম্পাসে। জানা গেছে, সাদা দলের কয়েকজন প্রভাবশালী জামাতপন্থী শিক্ষক নেতাও শিবিরের কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করছেন। প্রতিকূল অবস্থাতেও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিবিরের কার্যক্রম আগের চেয়েও বেশি গতিশীল বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।
ভাই, ছাত্রদলেরই বা কি দুষ। আমি তো অনেক শুনেছি যে বর্তমান ছাত্রলীগের সভাপতিই সাবেক শিবিরকর্মী! আমার অতীত অভিজ্ঞতা বলে রিপোর্ট ঠিকই আছে।
চরম বাম ও এখন ডানে মোড় নিছে, মধ্যপন্থিরা তো নিবেই। আমরা কি সবাই ডানেই এগুচ্ছি?