রাজণীতির নেশা আমার এসেছে আসলে মা’র দিক থেকে। বাবার দিক থেকে কেউ কোনদিন রাজণীতিতে ছিলো না। আমার ৫ মামা, তিন মাসীর জন্ম হবিগঞ্জ শহরে, রামকৃষ্ণ মিশনের পাশে এখন যে ‘ছবর মঞ্জিল’ এটাই ছিলো আমার মা’দের বাসা। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সবাই চলে যায় ভারতে। একমাত্র আমার মা থেকে যান দেশে।
আমার বড়ো মাসী ৬০-৭০ দশকে বৃন্দাবন সরকারী কলেজে ছাত্র রাজনীতি করতেন। একবার ছাত্র সংসদে জিএস নির্বাচিত হয়েছিলেন। তখনকার সময়ে একজন নারী নেত্রী। মাসী এখনো জীবিত আছেন, থাকেন আসামের লামডিং। সেই মা মাসীদের জিন থেকেই আমার রক্তে এসেছে রাজনীতি।
হবিগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের আমার বন্ধুরা জানে আমি যখন ক্লাস নাইনের জীববিজ্ঞানের পরীক্ষার খাতায় ডিগ্রী ক্লাসের বই থেকে উত্তর লিখতাম, অজিত স্যার কাছে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞেস করতেন, ডিগ্রীর ক্লাসের উত্তর দেওয়ার কি দরকার! তুমি এমনি ভালো করবে।
বৃন্দাবন কলেজে কেমেস্ট্রির সুধাংশু স্যার যখন হাতে বেতের বারি দিয়ে বলতেন, তুই তো সেকেন্ড ইয়ারেই উঠতে পারবি না! সেই আমিই কলেজের একমাত্র স্টার মার্ক নিয়ে ইণ্টার পাশ করে বের হয়েছি।
ভার্সিটির গল্প আরেকদিন করবো।
এখন ইউকে’তে একজন ইনকর্পোরেটেড সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হওয়া সত্বেও আমাকে কোন ভুতে ধরেছে যে আমাকেই দেশে গিয়ে রাজণীতিবিদ হতে হবে! ঐ যে বললাম রাজনীতির নেশা। এই নেশাই কাল হলো।
ভাবছি মাসীর সাথে একবার কথা বলবো। পুরনো কিছু গল্প শুনবো। শুনবো কিভাবে মেরুদণ্ড সোজা করে রাজনীতি করতে হয়। কারো আন্ডারওয়ার হয়ে নয়!