একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে লিখেছিলাম। লিখেছিলাম আগামী নির্বাচনে বিএনপি আসবে না। এক বন্ধু ইনবক্সে বললো, বুঝলাম বিএনপি আসবে না! তোমার এনালাইসিস ঠিক আছে। এখন একটা এনালাইসিস দাও যদি বিএনপি নির্বাচনে আসে।
বিএনপি যদি নির্বাচনে আসে এবং জামায়াতের সাথে জোট করে তাহলে তারা কতোগুলো আসনে জিতবে এটা নির্ভর করবে আওয়ামী লীগের প্রার্থীতা সিলেক্সন কেমন হবে সেটার উপর।
আওয়ামী লীগের ১০০ থেকে ১৩০ টি আসনে জয় আটকানোর মতো বিএনপির কোন প্রার্থী নেই। বাকি থাকলো ১৭০ থেকে ২০০ আসন। এসব স্থানে আওয়ামী লীগকে জিততে হলে নতুন মুখ দিতে হবে। বর্তমান এমপিদের দিলে ধরা খাওয়ার চান্স আছে।
বিএনপির ধারনা তাদেরকে লোকে ঠিকই ভোট দিবে কিন্তু সেগুলা ঠিকমতো কাউন্ট হবে না। এটা আসলে ভুল ধারনা। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তি ও মিডিয়ার স্বর্ণযুগে ভোট কারচুপির কোন সুযোগ থাকলেও সেগুলা ধামাচাপা দেওয়ার সুযোগ কম। তবে বিএনপির যদি সেন্টারে সেন্টারে তাদের এজেন্টই দেওয়ার মতো কর্মী না থাকে তাহলে তো দুঃখের কথা।
মোট কথা বিএনপি নির্বাচনে আসলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। বলা মুসকিল কে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। তবে আওয়ামী লীগ ১৬০-১৭০ টি আসন জিতে ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
বিএনপি’র একটা সম্ভাবনাই আছে যদি তারা জামায়াত ছেড়ে ৩০০ আসনের ২৫০-২৭০ টি আসনে রাজনৈতিক মাঠে একদম ফ্রেস এবং ইয়ং এডুকেটেড স্মার্ট প্রার্থী দিতে পারে। আগে বিএনপি করেছে এমন যেকোন প্রার্থী খুব সহজেই ভোটের মাঠে পরাজিত হবে। ফ্রেস প্রার্থী দিলে বিএনপির সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জিতে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে!
দেখা যাক কি হয়- সময় তো আর বেশি নাই। তবে আমার বাজি আওয়ামী লীগেই৷ রাজনৈতিকভাবে বিএনপি এতো দেউলিয়া যে জামায়াতের সহযোগিতায় এরা যতোই আগানোর চেষ্ঠা করবে ততই যুবক প্রজন্ম তাদের প্রত্যাখান করবে।
বিএনপি যেহেতু আর কোনদিন জামায়াতকে ছাড়তে পারবে না, কাজেই বিএনপি’র রাজনীতি ও কোনদিন দেশের শাষনভার পাবে না।